উইন্ডোজ টেনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রিকস
Posted by
Sayeem
Your Ads Here
উইন্ডোজ টেন তো আমরা সবাই উইন্ডোজ পিসি বা ল্যাপটপে ব্যবহার করি। মাইক্রোসফট সবসময়েই দাবি করেছে যে, উইন্ডোজ টেন হচ্ছে তাদের তৈরি এখন পর্যন্ত বেস্ট উইন্ডোজ ভার্সন। তাদের দাবিমতে উইন্ডোজ টেনে আগের সব উইন্ডোজ ভার্সনগুলোর থেকে অনেক বেশি ফিচার রয়েছে এবং এটি আগের থেকে অনেক বেশি ফাস্ট ও রিলায়েবল।
যা হোক, আজকে আলোচনা করব উইন্ডোজ টেনের এমন পাঁচ টি ট্রিকস নিয়ে যেগুলো আপনার জানা উচিত, যদি আপনি উইন্ডোজ টেন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন। হতে পারে এগুলোর মধ্যে অনেক ট্রিকস আপনি আগে থেকেই জানেন এবং অনেক দিন ধরে ব্যবহারও করে আসছেন। আবার হতে পারে এগুলো অনেক দিন ধরে উইন্ডোজ টেনে থাকার পরেও আপনি খেয়াল করেননি এবং ব্যবহার করেননি।
নাইট লাইট
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে এই ফিচারটি বেশ পরিচিত। নাইট লাইট মূলত এমন একটি ফিচার বা এমন একটি সেটিংস যেটি রাতে আপনার ডিভাইস ইউজ করার সময় আপনার চোখকে প্রটেকশন দেবে বা আপনার চোখের ওপর কম প্রেসার ফেলতে সাহায্য করবে। আপনি উইন্ডোজ টেন পিসির সেটিংস মেনু থেকে ডিসপ্লে সেকশনে গেলেই নাইট লাইট অপশনটি পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে নাইট লাইট একটিভ করে দিলেই আপনি দেখতে পাবেন আপনার ডিসপ্লে তে এক ধরনের অরেঞ্জ কালারের শেড দেওয়া হয়েছে যেটি রাতের বেলা ডিভাইজ ইউজ করার সময় আপনার চোখকে কমফোর্ট দেবে। আপনি চাইলে এই শেডটি কতটুকু ডিপ হবে বা লাইট হবে সেটাও নিজের ইচ্ছামতো সেট করতে পারবেন। আপনি চাইলে নিজের ইচ্ছামতো রুটিনও সেট করে দিতে পারবেন, যাতে নাইট লাইট আপনার সুবিধামতো সময়ে নিজে নিজেই অ্যাকটিভ হবে এবং ডিঅ্যাক্টিভেট হবে। F.lux সফটওয়্যারটি ব্যবহার করেও নাইট লাইট একটিভ করতে পারবেন।
স্মার্টফোন নোটিফিকেশন সিঙ্ক
আপনার স্মার্টফোন থেকে সব নোটিফিকেশন লাইভ আপনার পিসিতে সিঙ্ক করতে আপনাকে শুধুমাত্র আপনার স্মার্টফোনে মাইক্রোসফট কর্টানা এর এন্ড্রোয়েড ভার্সনটি ইনস্টল করতে হবে এবং আপনার পিসিতে যে মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্টটি লগইন করা আছে, ঐ সেম মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট আপনার ফোনে কর্টানাতে লগইন করতে হবে। এরপর আপনাকে পিসিতে উইন্ডোজ টেন এর সেটিংস মেনুতে গিয়ে কর্টানা সেটিংসে যেতে হবে। কর্টানা সেটিংসে একটি অপশন পাবেন যার নাম নোটিফিকেশন সেটিংস। এবার নোটিফিকেশন সেটিংস থেকে আপনাকে জাস্ট Send Notification Between Devices অপশনটি এনাবল করে দিতে হবে। এই ফিচারটি কাজ করতে হলে আপনার পিসি এবং স্মার্টফোন দুটিতেই ইন্টারনেট কানেকশন অন থাকতে হবে। এই ফিচারটির জন্যও আপনাকে উইন্ডোজ টেন এর লেটেস্ট ভার্সন অর্থাত্ ক্রিয়েটরস আপডেটের দরকার হবে।
কর্টানা অ্যাপ্লিকেশনটি আপনি প্লে স্টোরে পাবেন না। কারণ, এটি বাংলাদেশে অফিসিয়ালি এভেইলেবল নয়। আপনি চাইলে কর্টানা অ্যাপ্লিকেশনট এই লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
বিল্ট ইন ডিস্ক ক্লিনার
আমরা অনেকেই পিসিতে অপ্রয়োজনীয় ফাইলস স্ক্যান করে ডিলিট করার জন্য অনেক ধরনের থার্ড পার্টি প্রোগ্রাম ব্যবহার করে থাকি। যেমন সিক্লিনার, পিসি ক্লিনার ইত্যাদি এই ধরনের আরো অনেক জাঙ্ক ক্লিনার এপ্লিকেশন। কিন্তু এই ধরনের প্রোগ্রামগুলো সবসময় ব্যবহার করা উচিত নয়। অনেক ক্ষেত্রে এসব দরকারি হলেও থার্ড পার্টি প্রোগ্রাম হওয়ায় ফাইল ক্লিন করার জন্য এগুলো কখনোই উপযুক্ত সল্যুশন নয়। কারণ, অনেকেই জানেন না যে উইন্ডোজ টেন এ বিল্ট ইন ডিস্ক ক্লিনার আগে থেকেই আছে। আপনাকে শুধু উইন্ডোজ টেন এর সেটিংস মেনুতে গিয়ে সিস্টেম সেটিংস থেকে স্টোরেজ অপশনে যেতে হবে। এখানে আপনি একটি অপশন পাবেন যার নাম Storage Sense।
এ অপশনটি এনাবল করে দিলেই আপনাকে আর ডিস্ক ক্লিন করা নিয়ে ভাবতে হবে না কখনো। যখনই আপনার পিসিতে অপ্রয়োজনীয় ফাইলের সংখ্যা বেড়ে যাবে, উইন্ডোজ নিজেই ডিস্ক ক্লিন করবে এবং সব অপ্রয়োজনীয় ক্যাশ ফাইল এবং টেম্পোরারি ফাইলস ক্লিন করবে এবং আপনি ম্যানুয়ালি ডিস্ক ক্লিন করতে চাইলে তার জন্যেও উইন্ডোজে ডিফল্ট টুল আছে। আপনাকে শুধু স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে Disk Cleanup লিখে সার্চ করতে হবে। এরপর আপনার সামনে ডিস্ক ক্লিনআপ টুল ওপেন হবে এবং আপনি সেখান থেকে যেকোনো ড্রাইভ সিলেক্ট করে ফাইল ক্লিন করতে পারবেন।
ডেস্কটপ স্ক্রিনশট
স্মার্টফোনে স্ক্রিনশট নেওয়া অনেক সহজ, কিন্তু ডেস্কটপ/পিসির ক্ষেত্রে ততোটা সহজ নয়। হ্যাঁ, ডেস্কটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার কাজটিকে চাইলেই অনেক সহজ করে তোলা যায় বিভিন্ন থার্ড পার্টি স্ক্রিনশট নেওয়ার প্রোগ্রাম ইন্সটল করে। কিন্তু স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য উইন্ডোজ এর ডিফল্ট ফার্স্ট পার্টি প্রোগ্রামও রয়েছে যদিও এই প্রোগ্রামটি সম্পর্কে অনেক পিসি ইউজারই জানেন না। পিসিতে যেকোনো সময় স্ক্রিনশট নেওয়া যায় কি-বোর্ডের Insert PrintScreen বাটনটি প্রেস করে। কিন্তু, সেক্ষেত্রে আপনি স্ক্রিনশটটি রিসাইজ করতে পারেন না বা একটি ছোটো এরিয়া সিলেক্ট করে স্ক্রিনশট নিতে পারেন না। আপনার স্ক্রিনশটটি ক্লিপবোর্ডে কপি হয়ে থাকে এবং আপনাকে সেই স্ক্রিনশটটি আবার কোনো ইমেজ এডিটর প্রোগ্রামে পেস্ট করে নিয়ে তারপরে আবার এডিট করতে হয় অথবা সেভ করতে হয়।
কিন্তু স্ক্রিনশট নেওয়া এবং একই সঙ্গে ক্রপ করে স্ক্রিনশট নেওয়া বা নির্দিষ্ট এরিয়া সিলেক্ট করে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য উইন্ডোজের ডিফল্ট আরেকটি প্রোগ্রাম রয়েছে, যার নাম ঝহরঢ়ঢ়রহম ঞড়ড়ষ। এই প্রোগ্রামটি আপনি চোখের সামনেই সবসময় পাবেন না। তাই স্ক্রিনশট নেওয়ার আগে আপনাকে উইন্ডোজ স্টার্ট মেনু থেকে সার্চ করে প্রোগ্রামটি ওপেন করতে হবে। স্টার্ট মেনুর সার্চ বারে Snipping ওয়ার্ডটি লেখার পরেই ওপরে সার্চ রেজাল্টের মধ্যে আপনি প্রোগ্রামটি পেয়ে যাবেন। এরপর প্রোগ্রামটি একটি ছোটো ওয়াইড উইন্ডোতে ওপেন হবে।
বিল্ট ইন ইমোজি ইনপুট
উইন্ডোজ পিসি বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন অথচ কোনো টেক্সট ফিল্ডে ইমোজি ইন্টার করা নিয়ে কখনো সমস্যায় পড়েননি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। কারণ, উইন্ডোজ ডিভাইসে আমরা যে ট্রেডিশনাল হার্ডওয়্যার কিবোর্ড ব্যবহার করে টাইপ করি সেখানে ইমোজি ইন্টার করার কোনো অপশন নেই।
উইন্ডোজে যেখানেই কোনোকিছু টাইপ করার জায়গা পাবেন সেখানেই কাজ করবে এটি। এর জন্য আপনাকে শুধু টাইপ করার সময় উইন্ডোজ কি এবং ফুল স্টপ কি চাপতে হবে। মানে লেখার সময় কিবোর্ডে উইন্ডোজ লোগো বাটনটি চেপে ধরে রেখে ফুল স্টপ বাটনটি চাপতে হবে। তাহলেই আপনার সামনে ছোটো একটি পপআপ উইন্ডো ওপেন হবে যেখানে সব ধরনের ইমোজি থাকবে এবং আপনি সেখান থেকে যেকোনো ইমোজি সিলেক্ট করে টেক্সট ফিল্ডে ইন্টার করতে পারবেন। আপনি চাইলে যে ইমোজি খুঁজছেন সেই ইমোজির নাম লিখে সার্চ করেও ইন্টার করতে পারবেন এই পপআপ উইন্ডো থেকে।
Your Ads Here
Your Ads Here
Your Ads Here
Your Ads Here
নবীনতর পোস্টসমূহ
নবীনতর পোস্টসমূহ
পুরাতন পোস্টসমূহ
পুরাতন পোস্টসমূহ
মন্তব্যসমূহ