সম্প্রতি সময়ের ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ Google SEO টিপস - ২০১৯

সম্প্রতি সময়ের ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ Google SEO টিপস - ২০১৯
Posted by আসাদ
Your Ads Here

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ফলে আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট-কে Search Engine এর নিকট অত্যাধীক বিশ্বস্ত করে তুলে। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ভিজিটরদের যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হয়। কারণ যে কোন ওয়েবসাইটে ভিজিটররা প্রবেশ করেন সার্জ ইঞ্জিনের মাধ্যমে। বর্তমান সময়ে দেখা যায় শুধু মাত্র Google Search Engine এর মাধ্যমে ৯০% লোক তাদের সকল কাজ সেরে নেন। এই জন্য Google Search Engine-কে টার্গেট করতে পারলে আপনি ৯০% ভিজিটর পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাকী ১০% পাওয়ার জন্য আপনাকে Yahoo এবং Bing সার্চ ইঞ্জিন-কে অপটিমাইজেশন করতে হবে। আপাতত আমি আজকে Google Search Engine-কে নিয়ে কিছু টপিক লিখবো। পরবর্তীতে কোন এক দিন বাকী সার্চ ইঞ্জিন গুলো নিয়ে লিখার চেষ্টা করবো। আমাদের আজকের এই পোষ্টের প্রধান উদ্দেশ্যে হচ্ছে গুগল SEO সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা এবং গুগল থেকে আমাদের ব্লগে ভিজিটর নিয়ে আসা।
সম্প্রতি সময়ের ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ Google SEO টিপস - ২০১৯

Google Search Engine অপটিমাহজেশন-২০১৯

  • Featured Snippets: গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কোন কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করার পর আপনার কাঙ্খিত কীওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে সার্চ রেজাল্টের ছবি ও তথ্য সহ কিছু পোষ্ট শো করে। যার ফলে একজন ভিজিটর সহজে কাঙ্খিত লিংকে ভিজিট করতে আগ্রহ বোধ করে। গুগল এ ধরনের ব্লগ পোষ্টকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সার্চ রেজাল্টের শীর্ষে নিয়ে আসে।
  • Structured Data: Structured Data বলতে ব্লগার টেমপ্লেটের HTML ও Css সহ সকল কোডকে বুঝায়। প্রত্যেক ডিফল্ট এবং কাষ্টম ব্লগে Data hatom Errors থাকে। এ গুলি সবার ব্লগের ধরন অনুযায়ী Fix করে নিতে হয়। এই Errors গুলি সংশোধন করে না নিলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে অনেক সমস্যা হবে। সাধারণত Structured Data এর মধ্যে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো থাকে।
    • Rating Stars
    • Opening Hours
    • Event Data
    • Post Author
  • User Experience: এখানে User experience দ্বারা আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইটের User experience কে বুঝানো হচ্ছে। আপনার ব্লগের ডিজাইন ও লোড টাইম যত ভালো হবে সার্চ ও ভিজিটর উভয়ের কাছে ব্লগের গুরুত্ব তত বেশী পাবে। User experience ঠিক রাখার জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলো ঠিক রাখতে হবে।
    • ব্লগের লোড টাইম।
    • ভালো ও আকর্ষণীয় ডিজাইন।
    • মেবাইল অপটিমাইজেশন বা Responsive ডিজাইন
  • AMP অপটিমাইজেশনঃ AMP HTML হচ্ছে গুগল কোম্পানি সমর্থিত একটি Open Source Project, যা একটি ওয়েবসাইটের Content-কে যে কোন ধরনের মোবাইল ডিভাইসে দ্রুত লোড নিতে সাহায্য করে। আরো ভালভাবে বলা যায়, একটি মোবাইল ডিভাইসের মধ্যে AMP যে কোন ওয়েবসাইটকে একটি দ্রুতগামী বুলেটের’মত লোড নিতে সক্ষম। গুগল সম্প্রতি AMP এর প্রতি জোরালোভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে।
  • Google’s Mobile First Index: গুগল মোবাইলের জন্য আলাদা বট তৈরি করেছে। যার ফলে মোবাইলে সার্চ কনটেন্ট প্রদর্শনের জন্য আলাদা সার্চ এলগরিদম থাকবে। কেউ যদি মোবাইল থেকে সার্চ করে তাহলে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেবে। এ ক্ষেত্রে আপনার ব্লগ মোবাইল ফ্রেন্ডলি হলে মোবাইল ভার্সনের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অধিক গুরুত্ব দেবে। অন্যথায় মোবাইল ইনডেক্স এর ক্ষেত্রে আপনার ব্লগটি পিছিয়ে থাকবে।
  • লম্বা আর্টিকেলঃ এক সময় ছোট ছোট পোস্ট লিখেও সার্চ ইঞ্জিন হতে প্রচুর ট্রাফিক পাওয়া যেত কিন্তু গুগল বলছে তারা এখন অধিক আর্টিকেল সম্পন্ন ব্লগ পোস্টকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে একটি পোস্ট সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করাতে হলে লম্বা আর্টিকেল এর গুরুত্ব দিতে হবে বা বেশী ওয়ার্ড এর সমন্বয়ে পোস্ট লিখতে হবে।
  • ভালোমানের Image: সম্প্রতি গুগল তাদের অফিসিয়াল ব্লগে বলেছে যে, কেউ তার পোস্টের সাথে মিল রেখে সুন্দর ও আকর্ষণীয় ইমেজ ব্যবহার করলে সেই পোস্টে সার্চ ইঞ্জিন হতে ৬০% ট্রাফিক বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়ে যায়। তাছাড়া আপনি নিজে দেখতে পারছেন গুগল ইমেজ সার্চ এর জন্য আলাদা একটি সার্চ ইঞ্জিন রেখেছে।
  • ব্যাক লিংকঃ ব্যাক লিংকসের ক্ষেত্রে গুগল বলছে যে, আপনার ব্লগে শুধুমাত্র DoFollow লিংক থাকবে আর কোন ধরনের NoFollow লিংক থাকবে না, এটা হতে পারে না। ব্যাক লিংক এর ক্ষেত্রে DoFollow ও NoFollow  উভয় ধরনের লিংক থাকতে হবে। সেই সাথে পোষ্টের সহিত সম্পৃক্ত এমন ব্লগ থেকে ব্যাক লিংক তৈরি করতে হবে।
  • ভিডিও শেয়ারঃ ভিডিও টিউটোরিয়াল এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনার ব্লগের পোস্টের আর্টিকেল এর পাশাপাশি ভিডিও শেয়ার করলে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে পোস্টের গুরুত্ব আরো অধিক বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করেও ব্লগে ভিডিও শেয়ার করতে পারেন।
  • ভয়েস সার্চঃ ভালোমানের ব্লগগুলোর সার্চ বক্সে ভয়েস সার্চ এর অপশন রাখা হয়। এর ফলে একজন পাঠক টাইপ না করে সহজে ব্লগের পোস্ট খোঁজে নিতে পারে। এই বিষয়টি পাঠকের কাছে আপনার ব্লগে আরো সহজভাবে উপস্থাপন করবে। সাধারণত মোবাইল সার্চ এর ক্ষেত্রে ভয়েস অপশন অধিক ব্যবহার করা হয়।

আমার ব্যক্তিগত পরামর্শঃ

  • কখনই Google Search Engine নিয়ে কোন প্রকার ভূল পোষ্ট/টপিক লিখবেন না।
  • ভাল র‌্যাংকিং পাওয়ার জন্য Google Policy এর বহিঃভূত কোন প্রকার পন্থা অবলম্বন করা যাবে না।
  • অনেক প্রচেষ্টা ছাড়া বিস্ময়কর ইতিবাচক ফলাফল কিংবা দ্রুত গতিতে ভাল ফলাফলের আশা করবেন না। ভাল ফলাফলের জন্য প্রচুর পরিমানে পরিশ্রম করতে হবে। গুগল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে ইচ্ছা করলে সম্পূর্ণ ফ্রি ভাবে আপনার ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ করতে পারবেন কোন প্রকার মূল্য পরিশোধ ছাড়াই। এর জন্য প্রয়োজন আপনার অক্লান্ত পরিশ্রম।
  • ভাল সার্চ রেজাল্ট পাওয়ার জন্য Google এর সম্পূর্ণ Policy অনুসরণ করতে হবে। গুগল Policy অনুসরণ না করে কোন প্রকার কাজ করলে আপনার সাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে ভাল ফলাফল পাবে না।
  • আপনার ওয়েবসাইটটি অবশ্যই Google Search Console এ সাবমিট করে নিবেন। এটি আপনার সাইট এর পোষ্ট গুলি তাড়াতাড়ি সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে আসবে।
  • গুগল সাধারনত আপনার ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং নির্ধারণ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে আগত লিংকের ভিজিটরের মাধ্যমে অর্থাৎ কি রকম বা কি কোয়ালিটির ওয়েবসাইট থেকে আপনার ব্লগে ভিজিটররা আসলো। এ জন্য আপনার ব্লগকে বিভিন্ন ভাল মানের ওয়েবসাইটের সাথে লিংক করতে পারেন। যেমন-বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটে কমেন্ট করার মাধ্যমে ব্যাক লিংক তৈরী করে নিতে পারেন।
  • সার্চ ইঞ্জিন-কে অবশ্যই আপনার পোষ্টের লিংকটি বুঝিয়ে দিতে হবে। যেমন-পোষ্টের লিংক এলোমেলোভাবে না লিখে লিংটিকে যদি গুছিয়ে আপনার পোষ্টের সাথে মিল রেখে করেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার লিংকটি সহজে পড়ে নিতে পারবে।
  • অনেকে ভাবেন যে, ওয়েবসাইটের বয়স অল্প দিন হলে গুগল ঐ ওয়েবসাইটের জন্য ভাল র‌্যাংকিং দেয় না। আসলে এটা সম্পূর্ণ ভূল একটি ধারনা। গুগল র‌্যাংকিং নির্ভর করে আপনার ব্লগের কনটেন্ট এর কোয়ালিটির উপর। আপনার ব্লগের কনটেন্ট এর কোয়ালিটি ভাল হলে আপনার ওয়েভসাইট অল্প দিনে ভাল র‌্যাংকিং পেয়ে যাবে।
  • নির্দিষ্ট একটি টপিক অথবা ৩-৪ টি টপিক নিয়ে আপনার ব্লগিং চালিয়ে যাবেন। বেশিরভাগ ওয়েবসাইটে দেখা যায় কোন নির্দিষ্ট টপিক না লিখে যা ইচ্ছা তাই নিয়ে লিখেন। যেমন-ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে হলে আপনি এই টপিক নিয়েই লিখেন অথবা এর কাছাকাটি টপিক নিয়ে লিখা-লিখি করেন। হ-য-ব-র-ল ভাবে সব বিষয় নিয়ে লিখবেন না। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের ভাল র‌্যাংক পাবেন না।
  • ভালমানের টপিক লেখার জন্য Keyword রিসার্চ করতে পারেন। এত করে আপনি জানতে পারবেন আপনার বিষয়ে কোন কোন কী ওয়ার্ড গুলি হাই লেভেলের আর কোন কী ওয়ার্ড গুলি লো লেভেলের। এটি আপনার ওয়েবসাইট-কে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে মান সম্মত ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেবে।
Your Ads Here

Your Ads Here

Your Ads Here

Your Ads Here

নবীনতর পোস্টসমূহ নবীনতর পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ

Related Posts

Your Ads Here

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Loading comments...