কিভাবে একজন গৃহিনী ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করতে পারেন?

কিভাবে একজন গৃহিনী ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করতে পারেন?
Posted by আসাদ
Your Ads Here

একজন গৃহিনী কর্তৃক অনলাইন হতে টাকা ইনকাম এর বিষয়টি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অবাস্তব, অবান্তর ও ভ্রান্ত ধারনার ন্যায় একটি গল্প কাহিনী। একজন বাংলাদেশী আধুনিক উচ্চ শিক্ষিতা নারী সহজে অনলাইনে আয়ের বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাইবে না। সেই হিসেবে একজন গ্রামের অল্প শিক্ষিতা মেয়ে অনলাইনে আয়ের বিষয়টি বিশ্বাস করার কোন প্রশ্নই আসে না। আপনি গ্রামের কিংবা শহরের যেখানের মেয়ে হন না কেন এই ধরনের ভূল চিন্তা ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ ইন্টারনেট ও টেকনোলজির উন্নতি সাধনের ফলে যুগের অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন একজন গ্রামের গৃহিনী ঘরে বসে অনলাইন হতে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যদি এ বিষয়ে কোন ধরনের ধারনা না থাকে তাহলে আমাদের আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। একজন অজপাড়া গায়ের গৃহিনী কিভাবে অনলাইন হতে আয় করতে পারে সে বিষয়ে আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব।
কিভাবে একজন গৃহিনী ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করতে পারেন?

অনলাইনের আয় করার উপায়ের মধ্যে ব্লগিং হচ্ছে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনি যে বিষয়ে অভীজ্ঞতা রাখেন সেই বিষয়ে লেখালেখি করে অনলাইন হতে সহজে আয় করার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে খুব বেশী অভীজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। এখানে লেখালেখির জন্য আপনাকে কবি বা সাহিত্যিক হতে হবে না। আপনার পারিবারিক নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সম্পর্কে আপনার দক্ষতা ও অভীজ্ঞতাগুলো ব্লগে শেয়ার করে আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন জনপ্রিয় ব্লগার। অনলাইনে লেখালেখি করে যখন আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তখন আপনি খুব সহজে অনলাইন হতে ঘরে বসে ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

উপরের কয়েকটি জায়গাতে আমি আপনাকে জনপ্রিয় ব্লগার হওয়ার জন্য বলেছি। আপনি হয়ত ভাবছেন যে, আমি আপনাকে ব্লগার হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করছি। এতেকরে আপনি আমাকে ভূল বুঝতে পারেন। কারণ আপনার হয়ত ধারনা আছে ব্লগার মানে হচ্ছে নাস্তিক। ব্লগার মানেই নাস্তিক, এই ধরনের ধ্যান ধারনা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে। আপনি একটি জিনিস মনে রাখবেন ব্লগার মানে নাস্তিক নয়। যারা অনলাইন ব্লগে লেখালেখি করে তারা হচ্ছে ব্লগার। এ ক্ষেত্রে যারা নাস্তিকতা নিয়ে লেখালেখি করে তারাই হচ্ছে নাস্তিক ব্লগার। অবশ্যই নাস্তিকতার পেছনের কিছু কারণ থাকে। পৃথিবীর কোন মানুষ কারণ ছাড়া কোন কিছুই করে না। নাস্তিক ব্লগার তাদের ব্লগে বেশী পরিমানে ভিজিটর পাওয়ার জন্য নাস্তিকতা নিয়ে ব্লগিং করে। কারন নাস্তিকতা হচ্ছে একটি বিতর্কিত বিষয়। আর অনলাইনে বিতর্কিত বিষয়ের ভিজিটর বেশী হয়ে থাকে। মূলত নাস্তিকরা তাদের ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পেয়ে বেশী পরিমানে আয় করার জন্য বিতর্কিত বিষয় নিয়ে ব্লগিং করে।

  • [message]
    • ##check## ব্লগ পরিবর্তন
      • আমাদের পূর্বের প্রযুক্তি ডট কম ব্লগ এর নাম ও ডোমেইন নেম পরিবর্তন করে ব্লগার বাংলাদেশ নামকরণ করা হয়েছে। আমাদের পূর্বের ব্লগটি সার্চ ইঞ্জিন হতে আমরা মুছে দিয়েছি। আমাদের নতুন ব্লগের পোস্টগুলো খুব শীঘ্রই সার্চ ইঞ্জিনে পেয়ে যাবেন। আমাদের নতুন ব্লগ সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।
আমি একজন পুলিশ অফিসার, পুলিশিং হচ্ছে আমার পেশা। তারপরও আমার অবসর সময়ে পেশাদারিত্ব থেকে বেরিয়ে এসে অনলাইন ব্লগে আর্টিকেল শেয়ার করে থাকি। তাই বলে আমি ব্লগে লেখালেখি করে বলে নাস্তি হয়ে যাইনি। আমার ব্লগে টেকনোলজির টুকিটাকি বিষয় শেয়ার করি বলে আমাকে অনেকে টেক ব্লগার হিসেবে অনলাইনে চিনে। এ ক্ষেত্রে আপনি ব্লগে লিখলেই একজন নাস্তিক ব্লগার হবেন না। বরংচ আপনি সামান্য সময় ব্যয় করে অনলাইনে আর্টিকেল শেয়ার করে ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করতে পারলে আপনার ছোট খাটো প্রয়োজনগুলি মিটিয়ে নিতে পারবেন।

আয় করতে কি কি প্রয়োজন?

  • একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ।
  • পিসিতে ইন্টারনেট কানেকশন।
  • কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক ধারনা।’
  • বাংলা অথবা ইংরেজী টাইপ জানতে হবে। 
  • একটি ব্লগ থাকতে হবে (চিন্তা করবেন না, এটি খুব সহজ কাজ)।
  • নিয়মিত ২-৩ ঘন্টা সময় দিতে হবে।
বর্তমানে প্রত্যেকটি পরিবারের একটি ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপ কম্পিউটার থাকে। অধিকাংশ মা-বাবা তাদের ছেলে মেয়র জন্য ইন্টারনেট কানেকশন সহ কম্পিউটার কিনে বাড়ীতে রেখে দেন। ছেলে মেয়েরা কম্পিউটারের গুরুত্ব না বুঝার কারনে বছরের পর বছর অযত্মে কম্পিউটার নষ্ট হয়। আপনি সেই কম্পিউটারকে ইচ্ছা করলে কাজে লাগাতে পারেন। অন্যদিকে শিক্ষিত মহিলারা কম্পিউটার বেসিক জ্ঞান সম্পন্ন হয়ে থাকেন। কাজেই আপনি উপরের প্রায় সব উপকরণ হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র অবশিষ্ট ব্লগ তৈরির বিষয়টি আমাদের ব্লগ থেকে জেনে নিতে পারেন। আমরা ইতোপূর্বে আমাদের ব্লগে ব্লগ তৈরির পূর্ণাঙ্গ টিউটোরিয়াল শেয়ার করেছি। তারপরও না পারলে যোগাযোগ ফরমের মাধ্যমে আমাদের সাহায্য নিতে পারেন।

আপনি বাসায় কি করেন?

উপরের আমি অনেক বক বক করেছি। আপনি হয়ত আমার উপরে বিরক্ত হচ্ছেন। আমার উপর বিরক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ সময় নষ্ট করে বক বক শুনতে কার ভালো লাগে? আপনি বিরক্ত হলেও আমি বক বক করে যাব। কারণ মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে বিষয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে ভালোভাবে পাঠকদের বুঝিয়ে দেওয়াই হচ্ছে একজন ব্লগার এর কাজ। আরেকটু ধৈর্য ধরে বসুন, একটু পরেই আমি বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনার পরিবারে স্বামী ও সন্তান রয়েছে। আপনার স্বামী সারাদিন অফিস কিংবা ব্যবসার কাজে বাড়ীর বাহিরে থাকেন। আপনি তখন শুয়ে বসে ও ফেইসবুকিং করে বিরক্তির মধ্যে সারাদিন কাঠিয়ে দেন। আপনি ইচ্ছা করলে এই অবসর সময়টুকু কাজে লাগিয়ে অনলাইন হতে আয় করতে পারবেন। অনলাইনে অনেক মহিলা ব্লগার রয়েছে যারা প্রতি মাসে ৩-৪ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আপনি শুরুর দিতে এত বেশী করতে না পারলেও ১০-২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ টাকা দিয়ে আপনি আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মিটিয়ে নিতে পারবেন।

কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন?

আমি আগেও বলেছি আপনি আপনার পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় যে কাজগুলো জানেন সেই অভীজ্ঞতা ব্লগে শেয়ার করে অনলাইন হতে আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন আপনার ব্লগে পরিবারের যে বিষয়গুলো আপনি সাজি গুছিয়ে লিখতে পারবেন সেগুলি শেয়ার করতে হবে। আপনি হয়ত ভাবছেন আপনি কোন বিষয়ে লিখতে পারেন না, তাহলে অনলাইন হতে কিভাবে আয় করব। একটি পরিবার পরিচালনার বিষয়ে লেখার জন্য কবি বা সাহিত্যিক হতে হবে না। শুধুমাত্র সামান্য ভাষাগত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আপনি এ সকল বিষয়ে লিখতে পারবেন। নিম্নে আমি কয়েকটি টপিক তুলে ধরলাম যেগুলোর মাধ্যমে আপনি কোন কোন বিষয়ে লিখতে পারবেন সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারনা পেয়ে যাবেন।

১। রান্নার কাজঃ

একজন গৃহিনীর প্রধান কাজ হচ্ছে ঘরের রান্না বান্না করা। একজন গৃহিনীর চাইতে রান্নার বিষয়ে কেউ ভালো জ্ঞান সম্পন্ন হতে পারবে না। কারণ একজন গৃহিনী ভালো মানের খাবার রান্না করে স্বামী ও পরিবারের সকলের মন জয় করে থাকেন। আপনি যত ধরনের খাবারের আইটেম তৈরি করতে পারেন সেগুলো সম্পর্কে লিখে অনলাইনে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেন। পৃথিবীর সব মেয়েরা রান্নার কাজ শিখতে পছন্দ করে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের খাবার ও পিঠা তৈরির বিষয়গুলো ভালোভাবে লিখতে পারলে অনলাইন হতে প্রচুর পরিমান ট্রাফিক আপনার ব্লগে পেয়ে যাবেন।

২। বিউটি টিপস বা সাজগোজঃ

এই বিষয়টার জনপ্রিয়তা অনলাইনে সবার উর্ধে। মেয়েরা স্বভাবত সাজগোজ করতে অধিক পছন্দ করে। নিত্য নতুন সাজগোজ করার জন্য মেয়েরা বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন বিউটি টিপস খোঁজে থাকে। আপনি পা হতে মাথা পর্যন্ত সকল ধরনের বিউটি টিপস শেয়ার করে একজন জনপ্রিয় বিউটি ব্লগার হতে পারবেন। আপনি এ বিষয়ে ঠিকমত লিখতে পারলে ব্লগে লক্ষ লক্ষ ভিজিটর পেয়ে যাবেন। তাছাড়া চুল বাধা থেকে নখ পালিশ পর্যন্ত সকল বিষয়ের বিউটি টিপস ভিডিও হিসেবে তৈরি করে ইউটিউব এ আপলোড করেও অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

৩। ঘর সাজানোঃ

একটি ঘরের চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে বিছানা চাদর সহ ঘরের সকল সাজ সজ্জার বিষয়েও লিখে ব্লগে ভালোমানের ট্রাফিক সংগ্রহ করতে পারেন। যেহেতু আপনি একজন আদর্শ গৃহিনী সেহেতু আপনি অবশ্যই জানবেন যে, কিভাবে একটি ঘরকে সাজালে ঘর সুন্দর ও পরিপাঠি দেখাবে। কাজেই এ বিষয়ে লিখতে আমার মনেহয় আপনার কোন কষ্ট হবে না।

৪। ছেলে মেয়েদের নৈতিকতা শিক্ষাঃ

একটি শিশুর জন্মের পর হতে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বাবা মা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের দুঃশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন। আপনি একজন আদর্শবান মা হয়ে থাকলে বাচ্ছাদের খাওয়া দাওয়া, লেখা পড়া ও নৈতিক শিক্ষা সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান সম্পন্ন হবেন। আপনার এই জ্ঞানকে উপদেশ হিসেবে অনলাইনে শেয়ার করতে পারেন। আপনি সঠিক উপদেশ ও পরামর্শ দিতে পারলে আমার মনেহয় আপনার ব্লগে ভিজিটরের অভাব হবে না। কারন ছেলে মেয়েদের নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য বাবা মা প্রতিনিয়ত অনলাইন ও অফলাইনে বিভিন্ন সমাধান খোঁজে থাকেন। 

৫। পরিবারের বিবিধ বিষয়ঃ

একটি পরিবার পরিচালনার জন্য এই ধরনের হাজার হাজার টপিক রয়েছে। এ সকল বিষয় আলোচনা করে কখনোই শেষ করা যাবে না। একজন মহিলা পরিবার পরিচলনার সকল বিষয়ে জ্ঞান সম্পন্ন হন। পরিবারের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে স্বামী, সন্তান, শ্বশুড়-শাশুড়ী, সাজ-সজ্জা সহ ঘরের যাবতীয় বিষয়ে আলদা আলাদা করে পোস্ট শেয়ার করতে পারেন। এই বিষয়গুলো আপনি আনন্দের সাথে খুব সহজে লিখতে পারবেন। এ বিষয়গুলো লিখার জন্য আমার মনেহয় কোন ধরনের বাড়তী অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র সহজ সরল ভাষায় সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারলেই হয়ে যাবে।

কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন?

যারা অনলাইন ব্লগিং সাথে সামান্যতম পরিচিত তারা ইতোপূর্বে বুজে গেছেন যে, কিভাবে আপনি অনলাইনে হতে আয় করতে পারবেন। আপনি যখন উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে ব্লগে ভালোভাবে লিখবেন তখন আপনার ব্লগের প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পাবেন। সেই সময় আপনার ব্লগের জন্য গুগল এ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। গুগল আপনার এ্যাডসেন্স অনুমোদন করবে। অনুমোদনকৃত এ্যাডসেন্স এর কোড আপনার ব্লগে বসালে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন শো করবে। সেই বিজ্ঞাপনের ভিউ ও ক্লিক হিসেব করে গুগল আপনাকে টাকা দেবে।

শেষ কথাঃ বর্তমানে ইউটিউব ও ব্লগে অনেক মহিলারা রান্না ও বিউটি টিপস বিষয়ে বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল শেয়ার করছেন। আপনি হয়ত সেগুলো অনেক দিন যাবত দেখছেন এবং শিখছেন, কিন্তু কোন দিন জানতে চাননি যে, তারা এগুলো কেন শেয়ার করছে। মূলত এ ধরনের ব্লগ ও ভিডিও এর মাধ্যমে তারা অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করছে। আপনি চাইলে উপরের বিষয়ে ব্লগিং করে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
Your Ads Here

Your Ads Here

Your Ads Here

Your Ads Here

নবীনতর পোস্টসমূহ নবীনতর পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ

Related Posts

Your Ads Here

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Loading comments...