BlogSpot এসইও : BlogSpot ব্লগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ SEO টিপস!
Posted by
আসাদ
Your Ads Here
গুগল ব্লগার ব্লগের এসইও বিষয়টি আমার কাছে খুব প্রিয় একটি টপিক। কারণ গুগল ব্লগার প্লাটফর্মে যত সহজে এসইও করা যায় অন্য কোন ব্লগিং প্লাটফর্মে তত সহজে এসইও করা সম্ভব হয় না। গুগল ব্লগার ডেভেলপার টিম ব্লগের এসইও সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল উপাদান গুগল সার্চ ইঞ্জিনের উপযোগী করে ব্লগার ড্যাশবোর্ড এর ভীতরেই রেখেছে। আপনি শুধুমাত্র বিষয়গুলো বুঝে নিয়ে নিয়ম মোতাবেক সেট করতে পারলেই ব্লগের অধিকাংশ এসইও হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্লগিং প্লাটফর্মের ন্যায় বিভিন্ন টুলস বা এডঅন যুক্ত করার মত কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না।
অধিকাংশ নতুন ব্লগারগণ এসইও এর বেসিক বিষয়গুলো না বুঝার কারনে ব্লগের এসইও করতে পারেন না। আবার অনেক ব্লগার রয়েছে যারা মনেকরে তাদের দ্বারা ব্লগের এসইও করা সম্ভব হবে না। আপনি যদি ব্লগিং জগতে একদম নতুন হন তারপরও আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ার পর আপনার প্রিয় ব্লগার ব্লগের এসইও করে নিতে পারবেন। তবে একটা কথা ক্লিয়ার করে রাখছি যে, আমি এখানে শুধুমাত্র ব্লগের প্রধান এসইও করার কথা বলছি। কেউ আবার ভূল করে পরিপূর্ণ এসইও মনে করবেন না। কারণ পরিপূর্ণ এসইও করার অনেক এক্সটারন্যাল বিষয় রয়েছে। এসইও বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান ছাড়া কোন ধরনের ব্লগেরই পরিপূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) করা যায় না। তবে আপনি হতাশ হবেন না, আমাদের আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার ব্লগের বেসিক এসইও গুলো হয়ে যাবে এবং আমাদের ব্লগের এসইও সংক্রান্ত অন্যান্য পোস্টগুলো আয়ত্ব করতে পারলে আপনিও একজন এসইও এক্সপার্ট হয়ে আপনার ব্লগের পূর্ণাঙ্গ এসইও করতে পারবেন।
সাধারণত একটি ব্লগকে পরিপূর্ণ এসইও ফ্রেন্ডলি করতে হলে তিন ধাপে এসইও করতে হয়। তিনটি ধাপের মধ্যে একটি হচ্ছে থিমস অপটিমাইজেশন, তারপর পোস্ট অপটিমাইজেশন ও সবশেষে এক্সটারন্যাল আরো অনেক বিষয়। এই পোস্টে থিমস ও পোস্ট অপটিমাইজেশন এর মূল বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে শেয়ার করব।
আমরা ইতোপূর্বে Robots.txt এবং Custom Robots Header Tags নিয়ে দুটি আলাদা পোস্ট শেয়ার করেছি। আমি পুনরায় এখানে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাইছি না। আপনি এই লিংক দুটিতে ক্লিক করে বিষয় দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
উপরের চিত্রে দেখুন আপনার কাঙ্খিত পোস্টের ডান পাশের Permalink অপশনে ক্লিক করে পছন্দমত URL গঠন করে নিতে পারবেন। তবে একবার পোস্ট পাবলিশ করে দিলে সেই লিংক Url বা Permalink পুনরায় কাস্টমাইজ করার ক্ষেত্রে কিছুটা জঠিলতা রয়েছে। এই জন্য পোস্ট পাবলিশ করার পূর্বে ভালোভাবে লিংক গঠন করে নেওয়াটাই সবচেয়ে উত্তম।
গুগল ব্লগার ব্লগের Anchor Text বা লিংক তৈরি করা খুবই সহজ একটি কাজ। আপনি যে লেখার সাথে লিংক করতে চান সেই লেখাটি সিলেক্ট করে লিংক অপশনে ক্লিক করলে উপরের চিত্রের মত লিংক তৈরি অপশন সহ আরো কিছু বাড়তী অপশন পেয়ে যাবেন। আমরা জানি যে, কোন লেখার সাথে নিজের ব্লগের লিংক তৈরির ক্ষেত্রে সেটিকে Dofollow হিসেবে দেই। Dofollow লিংক তৈরির ক্ষেত্রে বাড়তী কোন কাজ করতে হয় না। লিংক এর অপশনের কাঙ্খিত লিংকটি দিয়ে OK করলেই হয়ে যায়।
অন্যদিকে আমরা জানি যে, অন্য কোন ব্লগের লিংক নিজের ব্লগের সাথে যুক্ত করার ক্ষেত্রে সেটিকে Nofollow লিংক হিসেবে গঠন করে থাকি। এখানে উপরের চিত্রে দেখুন শুধুমাত্র তীর চিহ্নিত আইকনটিতে ঠিক চিহ্ন দিয়ে OK করলেই খুব সহজে Nofollow লিংক গঠন হয়ে যায়।
ব্লগ পোস্টের ডান পাশের Label অপশনে ক্লিক করে খুব সহজে পোস্টের Label লিখতে পারেন অথবা সিলেক্ট করে দিতে পারেন। উপরের চিত্রে দেখুন আমার ব্লগের প্রত্যেকটি পোষ্টের বিষয়ের সাথে মিল রেখে আলাদা আলাদা Label তৈরি করে রেখেছি।
১। ম্যাটা ডেসক্রিপশন (হোম পেজ)
সার্চ ইঞ্জিনকে ব্লগে পোস্টের বা ব্লগের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সংক্ষেপে বুঝানোর জন্য Meta Description লিখা হয়ে যাকে। আপনার ব্লগে কি বিষয়ে লিখছেন অথবা আপনার ব্লগ পোস্টে কি বিষয়ে আর্টিকেল শেয়ার করছেন সেটিকে সংক্ষেপে বুঝাতে Meta Description দেওয়া হয়ে থাকে। মোট কথা হচ্ছে একটি বিশদ বিষয়ের সারসংক্ষেপ হচ্ছে Meta Description. এই ম্যাটা ডেসক্রিপশনের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন খুব সহজে একটি ব্লগ সম্পর্কে ধারনা নিতে পারে। সাধারণত ব্লগার ব্লগ স্পেসসহ ১৫০ অক্ষরের মধ্যে Meta Description লিখার জন্য সাজেস্ট করে। কারণ সার্চ ইঞ্জিন ১৬০ টির অধিক সংখ্যক অক্ষর সার্চ রেজাল্টে প্রদার্শন করে না। নিম্নোক্ত উপায়ে ব্লগে Meta Description যুক্ত করতে পারবেন।- প্রথমে আপনার ব্লগে লগইন করুন।
- তারপর ব্লগার ড্যাশবোর্ড হতে Settings > Search Preferences > Meta Tags এর অধীনে Meta Description অপশনটি দেখতে পাবেন।
- এখানে আপনার ব্লগের মূল বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে ১৫০ টি অক্ষরের মধ্যে Meta Description লিখতে হবে।
- উল্লেখ্য যে, এই ট্যাগটি শুধুমাত্র আপনার মূল ব্লগের Meta Description হিসেবে কাজ করবে। কোন পোস্ট এর ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে এটি তেমন কোন গুরুত্ব বহন করবে না।
২। ম্যাটা ডেসক্রিপশন (পোস্ট পেজ)
গুগল ব্লগার ব্লগের পোস্ট পেজে Meta Description যুক্ত করার জন্য পোস্ট এডিট করতে হয় না। ব্লগ পোস্ট এডিট না করেও খুব সহজে পোস্ট পেজের Meta Description যুক্ত করতে পারবেন।- আপনি যে পোস্টে Meta Description যুক্ত করতে চান সেই পেজে প্রবেশ করতে হবে।
- তারপর পোস্টের ডান পাশে নিচের চিত্রটি দেখতে পাবেন।
- এখন উপরের চিত্র হতে Search Description এ ক্লিক করলে নিচের চিত্রটি শো করবে।
- উপরের চিত্রের বক্সে ১৫০ টি অক্ষরের মধ্যে আপনার পোস্টের সারমর্ম লিখতে হবে।
৩। Crawlers and indexing
এটির অধীনে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অপশন রয়েছে। একটি হচ্ছে Robots.txt এবং অন্যটি Robots Header Tags. এই দুটি অপশন ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনকে ব্লগের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা যায়। সেই নির্দেশ মোতাবেক সার্চ ইঞ্জিন ব্লগের কনটেন্ট ইনডেক্স করে।আমরা ইতোপূর্বে Robots.txt এবং Custom Robots Header Tags নিয়ে দুটি আলাদা পোস্ট শেয়ার করেছি। আমি পুনরায় এখানে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাইছি না। আপনি এই লিংক দুটিতে ক্লিক করে বিষয় দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
৪। ব্লগ পোস্টের URL এর গঠন
এটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ সার্চ ইঞ্জিন একজন ভিজিটরকে URL বা Link এর মাধ্যমে যে কোন ব্লগের পোস্টে পৌছে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে ভিজিটর পোস্টের লিংক মনেরেখে পুনরায় সরাসরি ঐ পোস্টে ভিজিট করে। আপনি যখন একটি নতুন পোস্ট করবেন তখন পোস্ট পাবলিশ করার পূর্বে URL পোস্টের বিষয়ের সাথে মিল রেখে ৫০ টি অক্ষরের মধ্যে সুন্দরভাবে গঠন করবেন। পোস্টের URL এর ভীতরে কোন ক্ষমা, সেমিকোলন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। অনেকে এটি না করে পোস্টের বিষয়বস্তুর সাথে মিল না রেখে যা ইচ্ছা তাই লিখে দেন। এতেকরে পোস্টটি সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে মূল্য হারায়।উপরের চিত্রে দেখুন আপনার কাঙ্খিত পোস্টের ডান পাশের Permalink অপশনে ক্লিক করে পছন্দমত URL গঠন করে নিতে পারবেন। তবে একবার পোস্ট পাবলিশ করে দিলে সেই লিংক Url বা Permalink পুনরায় কাস্টমাইজ করার ক্ষেত্রে কিছুটা জঠিলতা রয়েছে। এই জন্য পোস্ট পাবলিশ করার পূর্বে ভালোভাবে লিংক গঠন করে নেওয়াটাই সবচেয়ে উত্তম।
৫। ব্লগ পোস্ট টাইটেল অপটিমাইজেশন
একটি সুন্দর ও অপটিমাইজ করা ব্লগ পোষ্ট টাইটেল যে কোন সার্চ ইঞ্জিন রোবটের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। সার্চ ইঞ্জিন রোবটগুলি একজন মানুষের মতন ভাল-খারাপ, পছন্দের-অপছন্দের জিনিসগুলি সহজে বাছাই করে নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ভালমানে টপিক নিয়ে লিখেন তাহলে সার্চ রোবট আপনার কনটেন্ট ও সুন্দর টাইটেল পছন্দ করে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসবে। ব্লগের পোস্ট টাইটেল অপটিমাইজ করার অনেক বিষয় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে আপনার ব্লগার থিমস এর অভ্যন্তরে থাকা টাইটেল ট্যাগটি সঠিকভাবে সেট করে নিতে হবে। ব্লগের টাইটেল ট্যাগ সেট করার জন্য নিজের স্টেপ অনুসরণ করুন।- প্রথমে ব্লগে লগইন করুন।
- তারপর ব্লগার ড্যাশবোর্ড হতে Theme > Edit HTML এ ক্লিক করুন।
- তারপর কীবোর্ড হতে Ctrl+F চেপে <title> অংশটি সার্চ করুন।
<title>
<b:if cond='data:blog.pageType == "index"'>
<data:blog.pageTitle/>
<b:else/>
<data:blog.pageName/>
<b:if cond='data:blog.pageType != "error_page"'>
<b:else/>Page Not Found :: <data:blog.title/>
</b:if>
</b:if>
</title>
- এখানে <title> ...... </title> এর সম্পূর্ণ ট্যাগটি ডিলিট করে উপরের সম্পূর্ণ ট্যাগটি সেট করুন।
৬। পোষ্টের Image অপটিমাইজেশন
Image হচ্ছে ব্লগ পোষ্টের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ব্লগ পোষ্টে Image ব্যবহার করে যে কোন বিষয় সম্পর্কে পাঠকদের সুস্পষ্ট ধারনা দেয়া যায়। এমন কিছু পোষ্ট থাকে যে গুলিতে Image ব্যবহার না করলে পাঠকদের পরিষ্কার ধারনা দেয়া সম্ভবই হয় না। অন্যদিকে সার্চ ইঞ্জিনও আপনার ব্লগে সকল Image গুলিকে আলাদাভাবে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসে। সাধারণত আপনি দেখে থাকেন যে, Google Search এর সার্চ রেজাল্টে Image নামে একটি ট্যাব থাকে। যেখানে ক্লিক করে কাঙ্খিত বিষয়ের অনেক Image পাওয়া যায়। আপনি যদি ব্লগের Image গুলি সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলী করে লিখেন তাহলে ঐ Image থেকে অনেক ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়। ব্লগের Image এ বিভিন্ন ধররেন Alt Tag ও Caption এর মাধ্যমে Optimize করা যায়। কিভাবে পোষ্টের Image Optimize করতে হয় এ নিয়ে আমরা পূর্বে একটি বিস্তারিত পোষ্ট শেয়ার করেছি।৭। পোস্টের লিংক Attributions
সাধারণত একটি লিংকের Nofollow এবং Dofollow দুই ধরনের Attributions থাকে। Nofollow লিংক এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন-কে ঐ ধরনের লিংকটিকে অনুসরণ না করার জন্য কমান্ড করা হয়ে থাকে। অপর দিকে Dofollow লিংক এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন-কে লিংকটিকে অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। Nofollow এবং Dofollow লিংক নিয়ে আমরা একটি বিশদ পোষ্ট শেয়ার করেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে উপরের লিংকে ক্লিক করে জেনে নিতে পারবেন।গুগল ব্লগার ব্লগের Anchor Text বা লিংক তৈরি করা খুবই সহজ একটি কাজ। আপনি যে লেখার সাথে লিংক করতে চান সেই লেখাটি সিলেক্ট করে লিংক অপশনে ক্লিক করলে উপরের চিত্রের মত লিংক তৈরি অপশন সহ আরো কিছু বাড়তী অপশন পেয়ে যাবেন। আমরা জানি যে, কোন লেখার সাথে নিজের ব্লগের লিংক তৈরির ক্ষেত্রে সেটিকে Dofollow হিসেবে দেই। Dofollow লিংক তৈরির ক্ষেত্রে বাড়তী কোন কাজ করতে হয় না। লিংক এর অপশনের কাঙ্খিত লিংকটি দিয়ে OK করলেই হয়ে যায়।
অন্যদিকে আমরা জানি যে, অন্য কোন ব্লগের লিংক নিজের ব্লগের সাথে যুক্ত করার ক্ষেত্রে সেটিকে Nofollow লিংক হিসেবে গঠন করে থাকি। এখানে উপরের চিত্রে দেখুন শুধুমাত্র তীর চিহ্নিত আইকনটিতে ঠিক চিহ্ন দিয়ে OK করলেই খুব সহজে Nofollow লিংক গঠন হয়ে যায়।
৮। পোস্টের Label and Related Post
আমরা সাধারণ প্রত্যেকটি পোস্টের বিষয়ের সাথে মিল রেখে একটি অথবা দুটি Label যুক্ত করে রাখি। ব্লগ পোস্টে Label যুক্ত করার ফলে এক সাথে অনেকগুলো কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। প্রথমত বিষয় অনুসারে ব্লগের পোস্টগুলি আলাদা করে দেখা যায়। দ্বিতীয়ত সার্চ ইঞ্জিনও অনেক সময় পোস্টের Label অনুসারে পোস্টকে আলাদাভাবে সার্চ এলগরিদমে সাজিয়ে রেখে সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন করে। তৃতীয়ত ব্লগের নিচের দিকে Related Post ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও Label গুলি পোস্ট প্রদর্শনের ক্ষেত্রে কাজ করে।ব্লগ পোস্টের ডান পাশের Label অপশনে ক্লিক করে খুব সহজে পোস্টের Label লিখতে পারেন অথবা সিলেক্ট করে দিতে পারেন। উপরের চিত্রে দেখুন আমার ব্লগের প্রত্যেকটি পোষ্টের বিষয়ের সাথে মিল রেখে আলাদা আলাদা Label তৈরি করে রেখেছি।
৯। পোস্টের Keyword Density
সাধারনত একটি পোষ্টের অভ্যন্তরে যতগুলি শব্দ লিখা হয়ে থাকে সেগুলির মধ্যে ঐ পোষ্টের কাঙ্খিত Keyword টি কতবার লিখা হয়েছে সেটি দ্বারাই Keyword Density কে নির্দেশ করে। এটি হতে পারে একটি মাত্র শব্দ বা Phrase, যা দ্বারা আপনি সার্চ ইঞ্জিন এবং ভিজিটরদের টার্গেট করছেন। ধরুন- আপনি “কফি সপ” বিষয় নিয়ে একটি পোষ্ট লিখছেন। এ ক্ষেত্রে আপনি সর্বমোট ৫০০ টি Keyword এর সমন্বয়ে সাজিয়ে গুজিয়ে পোষ্টটি লিখলেন এবং সম্পূর্ণ পোস্টের বিভিন্ন জায়গাতে “কফি সপ” শব্দটি ৫০ বার ব্যবহার করলেন। এ ক্ষেত্রে আপনার কাঙ্খিত পোষ্টের Keyword Density হচ্ছে ১০%। এক কথায় কোন একটি পোষ্টের সর্বমোট শব্দের মধ্যে কতবার Targeted Keyword টি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি দ্বারাই Density বুঝানো হয়ে থাকে। একটি পোস্টের মধ্যে Keyword Density কত Percent হওয়া উচিত সেটি জানার জন্য উপরের লিংক হতে পোস্টটি পড়ে নিবেন।
১০। ব্লগের কমেন্ট Nofollow করা
সাধারণত প্রত্যেকটি ডিফল্ট ব্লগের কমেন্ট সেকশন Nofollow আকারেই থাকে। তবে আপনি যদি কাস্টম ব্লগার থিমস ব্যবহার করে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার ব্লগটির কমেন্ট সেকশন Nofollow হিসেবে আছে নাকি Dofollow ফরমেটে আছে সেটি নিশ্চিত হয়ে নিবেন। কারন অনেক কাস্টম থিমস ডেভেলপার ইচ্ছাকৃতভাবে ব্লগের কমেন্ট সেকশন Dofollow করে রাখেন।
শেষে কথাঃ আপনারা সবাই জানেন যে, গুগল ব্লগার ব্লগ হচ্ছে গুগল এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস। গুগল ডেভেলপার টিম নিজ হাতে এর সকল কাজ সম্পন্ন করে থাকে। কাজেই গুগল ডেভেলপার টিম গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর প্রয়োজনীয় সকল উপাদানের সমন্বয়েই সার্চ ইঞ্জিন উপযোগী করে এটি তৈরি করেছে। আমরা যদি শুধুমাত্র এর সঠিক ব্যবহার করতে পারি তাহলে অন্য যে কোন প্লাটফর্মের চাইতে সহজে গুগল সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটর পেতে সক্ষম হব।
<a expr:href='data:comment.authorUrl' rel='nofollow'><data:comment.author/></a>
আপনার ব্লগের থিমস এর ভীতরে উপরের কোডটি খোঁজে পেলে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার ব্লগটি Nofollow ফরমেটে আছে। উপরের লাইনটি পাওয়া না গেলে কমেন্ট সেকশনে উপরের কোডটি যুক্ত করে নিবেন। কারণ কমেন্ট সেকশন Dofollow হিসেবে থাকলে আপনার ব্লগে কমেন্টকারী কমেন্ট এর মাধ্যমে আপনার কাঙ্খিত পোস্ট হতে কিছুটা লিংক জুস কেড়ে নিয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আপনার পোস্টটি কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
Your Ads Here
Your Ads Here
Your Ads Here
Your Ads Here
নবীনতর পোস্টসমূহ
নবীনতর পোস্টসমূহ
পুরাতন পোস্টসমূহ
পুরাতন পোস্টসমূহ
মন্তব্যসমূহ