প্রশ্নের আলোকে গুগল AdSense সংক্রান্ত সকল সমস্যার সংক্ষিপ্ত সমাধান!
Posted by
আসাদ
Your Ads Here
গুগল এ্যাডসেন্স হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা যেটি গুগল নিজে পরিচালনা করছে। ব্লগ এবং ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপ ব্যবহার করে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জনের যত উপায় আছে তার মধ্যে AdSense হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। তারপরও সবার মনে কিছু প্রশ্ন জাগে যে, এটা কি আসলে সত্য বা সম্ভব? আমি কি সব সময় Google AdSense থেকে টাকা উপর্জন করতে পারবো? আমি কি ওখান থেকে উপার্জিত টাকা দিয়ে সব কিছু চালিয়ে যেতে পারবো?
আমাদের ব্লগে ইতোপূর্বে গুগল এ্যাডসেন্স বিষয়ে অনেক পোষ্ট রয়েছে। তারপরও ফেইসবুক কমিউনিটি পেজে অনেকে বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট প্রশ্ন করে থাকেন। অনেক সময় কাজের ব্যস্ততায় ঐ সহজ প্রশ্নগুলির উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যেতে হয়। সে জন্য আজ আমি সকল ছোট প্রশ্নগুলির উত্তর প্রশ্নভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে সবার সমনে সহজ ও বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করব।
পোষ্টটি শুরু করার পূর্বে আপনাদের একটি বিষয় জানিয়ে দিচ্ছি যে, গুগল এ্যাডসেন্স গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখ হতে বাংলা ভাষা সাপোর্ট করছে। বিষয়টি যারা এখনো জানেন না তারা অবগত হয়ে তাদের বাংলা ব্লগের মাধ্যমে গুগল এ্যাডসেন্সর জন্য আবেদন করতে পারেন। উল্লেখ্য যে, আমাদের প্রযুক্ত ডট কম ব্লগটিও বাংলা কনটেন্ট দিয়ে গুগল এ্যাডসেন্স অনুমোদন করে গুগল এর বিজ্ঞাপন ব্যবহার করছে।
গুগল এ্যাডসেন্স সংক্রান্ত বেসিক প্রশ্নঃ
- প্রশ্নঃ গুগল এ্যাডসেন্স কি? উত্তরঃ গুগল এ্যাডসেন্স হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক বিজ্ঞাপন। যার মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনীয় পন্যের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারেন। অন্যদিকে এ্যাডসেন্স পাবলিশাররা তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন।
- প্রশ্নঃ গুগল এ্যাডসেন্স থেকে কি আয় করা সম্ভব? উত্তরঃ হ্যাঁ, অবশ্যই সম্ভব।
- প্রশ্নঃ বাংলা ওয়েবসাইট থেকে কি এ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়া যায়? উত্তরঃ হ্যাঁ, অবশ্যই বাংলা ওয়েবসাইটে এ্যাডসেন্স অনুমোদন হয়। উদাহরণ হিসেবে আমাদের ব্লগকে অনুসরণ করতে পারেন। তবে ২০১৮ সালের পূর্বে এ্যাডসেন্স বাংলা ভাষা সাপোর্ট করত না।
- প্রশ্নঃ এ্যাডসেন্স অনুমোদনের জন্য বাংলা ওয়েবসাইট ভাল নাকি ইংরেজী ওয়েবসাইট ভাল? উত্তরঃ অনুমোদনের ক্ষেত্রে দুটি ভাষা সমান। তবে বাংলা ওয়েবসাইটের চাইতে ইংরেজী ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বেশী আয় করা যায়।
- প্রশ্নঃ শুনলাম এশিয়া মহাদেশ থেকে এ্যাডসেন্স পাওয়া খুব কঠিন বিষয়? উত্তরঃ এই তথ্যটি সঠিক নয়। একটি পরিপূর্ণ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্লগের মাধ্যমে যে কোন দেশ থেকে সহজে এ্যাডসেন্স অনুমোদন করা সম্ভব।
- প্রশ্নঃ বাংলাদেশে নাকি ৬ মাসের পূর্বে এ্যাডসেন্স অনুমোদন করে না? উত্তরঃ এটিও সঠিক নয়। তবে একটি ব্লগকে এ্যাডসেন্সের জন্য পরিপূর্ণ উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রায় ৬ মাসের অধিক সময় লেগে যায়। সে জন্য ব্লগের বয়স নূন্যতম ছয় মাস হওয়ার আগে এ্যাডসেন্সের আবেদন করতে অভিজ্ঞরা নিষেধ করেন। তবে এর আগে যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে ৬ মাসের পূর্বেই এ্যাডসেন্স পাওয়া সম্ভব।
- প্রশ্নঃ আবেদন করার পূর্বে কমপক্ষে কতগুলো পোষ্ট থাকতে হবে? উত্তরঃ ভালমানের আর্টিকেলের সমন্বয়ে কমপক্ষে ২৫/৩০ টি পোষ্ট রাখা প্রয়োজন।
- প্রশ্নঃ প্রত্যেকটি পোষ্টের জন্য কি পরিমান আর্টিকেল হলে এ্যাডসেন্স অনুমোদন হয়? উত্তরঃ প্রত্যেকটি পোষ্টে ৪০০/৫০০ ওয়ার্ড রাখাটা ভাল।
- প্রশ্নঃ কপি করা আর্টিকেল দিয়ে কি এ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়া যায়? উত্তরঃ আদৌ কেউ অনুমোদন পায়নি এবং ভবিষ্যতেও সম্ভব নয়!
- প্রশ্নঃ ব্লগস্পট ডোমেন দিয়ে কি এ্যাডসেন্স অনুমোদন হয়? উত্তরঃ আগে পাওয়া যেত কিন্তু সম্প্রতি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একটি টপ লেভেলের ডোমেন নিয়ে তার পর এ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার স্বপক্ষে গুগল নিজেও পরামর্শ দিচ্ছে।
এ্যাডসেন্স আবেদন করার পূর্বে করণীয় কি?
- প্রশ্নঃ ব্লগার দিয়ে ব্লগিং করলে ভাল নাকি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে করলে ভাল হয়? উত্তরঃ আপনি যেটি দিয়ে ব্লগিং করেন না কেন এ্যাডসেন্স অনুমোদনের ক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব পাবে।
- প্রশ্নঃ কাষ্টম থিমস নিয়ে কাজ করব নাকি ডিফল্ট থিমস নিয়ে? উত্তরঃ একটি ভালমানের কাষ্টম থিমস নিয়ে কাজ করাটাই উত্তম।
- প্রশ্নঃ শুনেছি ব্লগস্পট দিয়ে ব্লগিং করলে নাকি ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না? উত্তরঃ এটা ঠিক নয়। আপনার ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকলে ব্লগস্পট নিয়ে কাজ করে ভাল র্যাংক করা কোন ব্যাপারই না।
- প্রশ্নঃ ডট কম ডোমেন ভাল নাকি ডট নেট হলে ভাল হয়? উত্তরঃ আমি সবসময় ডট কম ডোমেন নেওয়ার পরামর্শ দেব।
- প্রশ্নঃ কত অক্ষরের ডোমেন নেম হলে ভালো হয়? উত্তরঃ পাঁচ অক্ষর থেকে শুরু করে পনের অক্ষরের মধ্যে রাখাটা ভাল।
- প্রশ্নঃ কোন ধরনের টপিক নিয়ে কাজ করলে এ্যাডসেন্স দ্রুত অনুমোদন হবে? উত্তরঃ গুগল সবসময় প্রযুক্তি বিষয় সংক্রান্ত ব্লগকে প্রধান্য দিয়ে থাকে?
- প্রশ্নঃ নিস হিসেবে Blogspot টিউটোরিয়াল কেমন? উত্তরঃ অবশ্যই ভাল। পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইন এবং এসইও নিয়ে লিখতে পারলে দ্রুত এ্যাডসেন্স পাওয়ার আশা করতে পারেন।
- প্রশ্নঃ এসইও করলে নাকি দ্রুত এ্যাডসেন্স অনুমোদন হয়? উত্তরঃ সঠিকভাবে এসইও করা ব্লগকে এ্যাডসেন্স অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করে। কারণ প্রোপার এসইও করা ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন হতে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
- প্রশ্নঃ ব্লগে About Us, Contact, Privacy Policy রাখা কি বাধ্যতামূলক? উত্তরঃ এগুলো আপনার ব্লগ সম্পর্কে পাঠকদের স্বচ্ছ ধারনা দেয়। কাজেই এই পেজগুলি রাখলে ভাল ফলাফল পাবেন। বিশেষ করে জনপ্রিয় ব্লগের এ পেজগুলি অনেক গুরুত্ব বহন করে।
- প্রশ্নঃ নিউজ, ভিডিও এবং ফ্রি নেট বিষয়ে গুগল এ্যাডসেন্স অনুমোদন হয় নাকি? উত্তরঃ সার্চ ইঞ্জিনের কাছে এগুলোর গুরুত্ব খুবই কম। সে জন্য এই টপিক গুলিতে এ্যাডসেন্স অনুমোদন হয় না বল্লেই চলে। তবে জনপ্রিয় করতে পারলে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- প্রশ্নঃ ইউনিক কনটেন্টের সাথে গুগল থেকে Image নিয়ে পাবলিশ করলে কোন সমস্যা হবে কি না? উত্তরঃ অন্য ওয়েবসাইটের লগোযুক্ত ছবি ব্যবহার না করলে সমস্যা হবে না। তবে কেউ তার ব্লগের ছবি সম্পর্কে রিপোর্ট করলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- প্রশ্নঃ সাইটে পর্যাপ্ত ইউনিক আর্টিকেল রয়েছে কিন্তু ভিজিটর কম, এ ক্ষেত্রে কি অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে? উত্তরঃ পাওয়া যাবে, কারণ গুগল এ্যাডসেন্স সাইটের ট্রাফিককে খুব বেশী গুরুত্ব দেয় না। ভালমানের পর্যাপ্ত কনটেন্ট থাকলে এ্যাডসেন্স অনুমোদন হবে। আমার মতে প্রতিদিন ৫০-১০০ পেজ ভিউ থাকলে এ্যাডসেন্স অনুমোদন হয়।
- প্রশ্নঃ ডট TK ডোমেন দিয়ে কি এ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে? উত্তরঃ না।
- প্রশ্নঃ এ্যাডসেন্সে আবেদন করার পূর্বে কি কি Check List তৈরি করা দরকার? উত্তরঃ গুগল এ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই কিছু Check List তৈরি করা ভাল। যেমন-ব্লগের সকল পোস্ট ৮০-৯০ ভাগ ইউনিক কি না এবং গুগল পলিসির ভিতরে আছে কি না। ব্লগের সকল গুরুত্বপূর্ণ পেজ ঠিক আছে কি না। ওয়েবসাইটে ২৫-৩০ টি পাষ্ট ঠিকমতো ইনডেক্স হচ্ছে কি না। ব্লগের ডিজাইন এবং এসইও ফ্রেন্ডলি কি না সেটা চেক করতে হবে। সাদা সিদে ন্যাভিগেশন এবং লেয়াউট এ সব দরকারি জিনিস রাখতে হবে। সার্চ ইঞ্জিনে কিছু Organic Keywords এ ভাল Rank করালে এক্সট্রা পায়রিটি পাওয়া যাবে। সবকিছু ঠিকমতো থাকলে অল্প দিনে এ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়া সম্ভব।
হোস্টেড ও নন-হোস্টেড এ্যাডসেন্স কি?
- প্রশ্নঃ Hosted AdSense বলতে কি বুঝানো হয়? উত্তরঃ গুগল ব্লগার, YouTube এবং AdMob দ্বারা ব্যবহৃত এ্যাডসেন্স হচ্ছে Hosted AdSense.
- প্রশ্নঃ Non Hosted AdSense বলতে কি বুঝায়? উত্তরঃ নিজস্ব সাইট দিয়ে অনুমোদন পাওয়া গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট হচ্ছে Non Hosted AdSense.
- প্রশ্নঃ Non Hosted AdSense এর জন্য Alexa rank কোন প্রভাব বিস্তার করে? উত্তরঃ না।
- প্রশ্নঃ বাংলাদেশ থেকে Non Hosted AdSense এর জন্য কোন Niche বেশী অনুমোদন হয়? উত্তরঃ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে Smartphone Review, Education Result এবং Technology সাইট দিয়ে অনুমোদন পাওয়া সম্ভব হয়।
- প্রশ্নঃ Hosted ও Non Hosted AdSense এর মধ্যে পার্থক্য কি? উত্তরঃ এই দুটির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে Hosted শুধুমাত্র গুগলের BlogSpot, YouTube এবং AdMob দ্বারা অনুমোদন করা। অন্যদিকে Non Hosted হচ্ছে নিজেস্ব ব্লগ/ওয়েবসাইট দিয়ে অনুমোদন করা।
- প্রশ্নঃ Hosted Account কি Non Hosted Account এ Upgrade করা যায়? উত্তরঃ হ্যাঁ করা যায়, গুগল পলিসি অনুসারে ব্লগ তৈরি করে আবেদন করে Hosted Account থেকে Non Hosted Account এ Upgrade করা যায়।
- প্রশ্নঃ Non Hosted Account এর এ্যাডসেন্স কোড কতটি ব্লগ/ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা যায়? উত্তরঃ শুধুমাত্র অনুমোদনকৃত একটি ব্লগেই ব্যবহার করা যায়। তবে ২০১৯ সালের পূর্বে ৫০০ টির বেশী ব্লগ/ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা যেত। এখন হোস্টেট ও নন-হোস্টেট একাউন্ট প্রায় সমান গুরুত্ব বহন করে।
এ্যাডসেন্স সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্নঃ
- প্রশ্নঃ আমি কি গুগল AdSense এর জন্য Sub Domain ব্যবহার করতে পারি? উত্তরঃ হ্যাঁ পারেন, তবে আগে টপ লেভেল ডোমেইন দিয়ে অনুমোদন করাতে হবে, তারপর সাব ডোমেইন এ অ্যাডসেন্স ব্যাবহার করতে পারবেন।
- প্রশ্নঃ Troll সাইটে কি এ্যাডসেন্স অনুমোদন হবে এবং এ ক্ষেত্রে কি ধরনের আর্টিকেল প্রয়োজন? উত্তরঃ যদি গুগলের নীতিমালা ভঙ্গ না করেন তবে ভালো মানের ২৫/৩০ টি পোস্ট দিয়ে অনুমোদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি যে কোন প্রোডাক্ট বেইজ ও ইনফরমেটিভ ব্লগ তৈরি করতে পারেন।
- প্রশ্নঃ ব্লগের বেশীরভাগ ভিজিটর Facebook থেকে আসলে কি AdSense অনুমোদন সম্ভব? উত্তরঃ এ্যাডসেন্স অনুমোদন দেবে। তবে ফেসবুকের ভিজিটরের চাইতে গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ভিজিটরের মূল্য বেশি। সে ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের গুরুত্ব দিতে হবে।
- প্রশ্নঃ কিভাবে এ্যাডসেন্স ব্লক হওয়া থেকে রক্ষা করব এবং আয় বৃদ্ধি করব? উত্তরঃ অ্যাডসেন্স ব্লক হওয়া থেকে বাঁচার জন্য এ্যাডসেন্সের পলিসি অনুসরণ করে ব্লগিং করতে হবে। আয় বৃদ্ধি করার জন্য ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধি করার পাশাপাশি এ্যাডসেন্স CTR, CPC ও RPM রেট বৃদ্ধি করতে হবে।
- প্রশ্নঃ ভালমানের আর্টিকেল মানে কি? ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেলের কি কি গুন থাকা দরকার? আর্টিকেলের মান ভালো না খারাপ সেটা চেক করার কি কোন উপায় আছে? উত্তরঃ আপাত দৃষ্টিতে ভালমানের আর্টিকেল বলতে ইউনিক ও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলকে বুঝায়? যে আর্টিকেল গুলির ডিমান্ড সর্বস্তরে রয়েছে, সেগুলিই হচ্ছে ভালমানের আর্টিকেল। Google Keyword Planner দিয়ে খুব সহজে আর্টিকেলের মান যাচাই-বাছাই করতে পারেন।
- প্রশ্নঃ আমার ব্লগে যদি ৫০ ভাগ ইউনিক পোষ্ট থাকে, তবে কি অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে? অ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনটা বেশি জরুরী, ইউনিক পোস্ট নাকি ভিজিটর? উত্তরঃ এ ক্ষেত্রে এ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। অ্যাডসেন্স অনুমোদনের ক্ষেত্রে ভিজিটরের চাইতে ইউনিক পোষ্টকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।
- প্রশ্নঃ ব্লগের Privacy পেজ কিভাবে তৈরি করব? অনলাইনের বিভিন্ন টুল দিয়ে জেনারেট করে নিলে কোন সমস্যা হবে কি না? উত্তরঃ অনলাইনের বিভিন্ন টুল দিয়ে জেনারেট করে Privacy পেজ তৈরি করতে পারেন। তবে আপনার ব্লগের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য রেখে কিছুটা পরিবর্তন করবেন। এ পদ্ধতীতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।
এ্যাডসেন্স সংক্রান্ত বিষদ প্রশ্নঃ
- প্রশ্নঃ আমার একটা ব্লগস্পট ব্লগ আছে কিন্তু এখনো টপ Domain Set করা হয়নি, কিছুদিন এর মধ্যে Domain Set করব। এখন পর্যন্ত ৫০ টা পোস্ট করা হয়েছে। সব পোস্ট ৮০% Unique. ব্লগে প্রতিদিন ১০০+ ভিজিটর আসে। ডোমেন Set করার কতদিন পর AdSense Apply করলে Approve পেতে পারি। আমার Content এর যদি কোনো Problem থাকে এবং আমি যদি সেটা একবার Apply করার পর বুজতে পারি এবং সেই Content গুলো Delete করে দিয়ে আবার Fresh কনটেন্ট পোস্ট করে পুনরায় Apply করি তাহলে কি Problem হবে কিংবা Approve হবে? উত্তরঃ ব্লগ সেটিং করার পর অবশ্যই একটি টপ ডোমেইন সেট করে নিবেন। ডোমেইন সেট করলে এক মাস পরে এপ্লাই করে দেখুন। কনটেন্ট ভালো মানের হলে এপ্রুভ পেয়ে যাবেন। কপি পেস্ট মুক্ত ফ্রেশ কনটেন্ট। অবশ্যই গ্রামার, সেন্টেন্স এবং কত ভাগ ইউনিক সেটা মাথায় রাখতে হবে, আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। ডিলেট করলে বিপদে পড়বেন। 404 not Found আসবে আর সাইটের Rank হারাবেন। কনটেন্ট আপডেট কিংবা রি–রাইট করলে ভালো হবে।
- প্রশ্নঃ ভাই Adsense পেতে সাইটের বয়স কত লাগবে? কতগুলো পোষ্ট আর কি রকম এসইও করা লাগবে? উত্তরঃ গুগল এর মেইন শর্ত হচ্ছে হাই কুয়ালিটি কনটেন্ট এবং একটি টপ লেভেল ডোমেইন দিয়ে সাইট বানাতে হবে। তারপর সাইটে ৪০-৫০ দিন সময় নিয়ে ৪০-৫০ টা ইউনিক আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। সাইটে About, Privacy, Contact us & DMCA পেজ গুলো ঠিক মতো পাবলিশ করতে হবে। সাইটের সকল পোস্ট Google Search Console এ সাবমিট করতে হবে। তারপর হালকা পাতলা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করুন। তারপর সাইটের বসয় ৫০-৬০ দিন হলে গুগল অ্যাডসেন্স এপ্লাই করুন। অ্যাডসেন্স এপ্রুভ হতে সময় লাগবে না।
- প্রশ্নঃ Google Adsense এর টাকা কিভাবে উঠানো যায়? উত্তরঃ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের সবাই চেক দিয়ে টাকা ক্যাশ করাতাম। মাস খানিক সময় লাগতো টাকা ক্যাশ করতে। এখন EFT আছে, সরাসরি ৪-৫ দিনেই টাকা ব্যাংক এ চলে আসে। ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক দিয়ে টাকা উত্তোলন করা যায়।
- প্রশ্নঃ হোস্টেড অ্যাডসেন্সে অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট মেথড হিসেবে DBBL Mobile Banking কিভাবে অ্যাড করা যায়? সাধারণত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অ্যাড করার জন্য ধারাবাহিকভাবে কি করতে হয়? উত্তরঃ হোস্টেড অ্যাডসেন্সে অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট মেথড হিসেবে DBBL Mobile Banking হিসাবে অ্যাড করা যায়। Adsense & Domain Parking গ্রুপের কয়েক জন DBBL Mobile Banking দিয়ে টাকা তুলে। আমি কখনো ইউজ করি নাই। সম্ভবত Account No. এর জায়গায় Mobile Banking নাম্বার দিতে হয়। যারা ইউজ করে, তারা আরও বিস্তারিত বলতে পারবে।
- প্রশ্নঃ অ্যাডসেন্স Approve পাওয়ার পর যদি আমি আমার সাইট এর Banner বা অন্য কোথাও সাইট এর Related Niche এর CPA বা অন্য কোন Product এর Promotion করি, তাহলে কি AdSense এর কোন Problem হবে? উত্তরঃ Promotion/CPA তে যদি গুগল পলিসি ভঙ্গ করে এমন কিছু থাকে, তাহলে ব্যাবহার না করাই ভালো। তবে Amazon & Adsense একই সাইটে ব্যাবহার করা যায়। কোন সমস্যা হয় না।
- প্রশ্নঃ আমার YouTube AdSense Account আছে। Non Hosted Site এর জন্য কি আমি AdSense apply করতে পারব? এক্ষেত্রে কি কোন Problem এ পরতে হবে? YouTube and Website এর জন্য ২ টার Earning কি একসাথে দেখাবে, নাকি আলাদা আলাদা দেখাবে? উত্তরঃ হ্যাঁ পারবেন। আলাদা এ্যাডসেন্স একাউন্ট করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করে একাউন্ট আপগ্রেট করতে পারেন। দুইটার আয় এক সাথে এবং আলাদা দুই ভাবে দেখতে পারবেন।
- প্রশ্নঃ বর্তমান ইউটিউব অ্যাডসেন্স কি ব্লগার এ ব্যবহার করা সম্ভব? যদি যায় তাহলে বর্তমানে কিভাবে করব? উত্তরঃ সম্ভব না। প্রত্যেকটি ব্লগ/ওয়েবসাইটের জন্য অনুমোদন করে নিতে হয়।
- প্রশ্নঃ আমার যদি ইতোমধ্যেই একটি AdSense একাউন্ট থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে আমার ছোট ভাই আরেকটি একাউন্ট এপ্লাই করতে পারবে যদি বাড়ির এড্রেস একি হয়? উত্তরঃ আলাদা সাইট, আলাদা কম্পিউটার আইপি, আলাদা ঠিকানা এবং আলাদা Payee Name দিয়ে সহজেই এপ্রুভ পাবেন। আশা করি কোন ঝামেলা হবে না।
নোটঃ এই পোষ্টের সকল আর্টিকেল আমার নিজের লেখা নয়। পোষ্টের ৪০% আর্টিকেল জনাব রুবেল এর বাংলা ব্লগ “রুবেল এসবিএস” থেকে নেওয়া। তবে আমার পোষ্টটি শুরুর দিকে উনার ব্লগ থেকে কনটেন্ট নেওয়ার টার্গেট ছিল না। পোষ্টের কিছু আর্টিকেল লিখার পর অনলাইনে সার্চ করতে গিয়ে উনার পোষ্টটি পেয়ে যাই। যদিও আর্টিকেল আমি নিজেই লিখতে পারতাম কিন্তু পোষ্টের কিছুটা লেখা উনার লেখার সহিত মিলে যেত। সে জন্য পোষ্টের শেষের আর্টিকেল নিজে না লিখে উনার ব্লগ থেকে নিয়েছি। মিঃ রুবেল এর ব্লগ পোষ্টের আর্টিকেল কপি করার তিন দিন আগে উনার অনুমতি চেয়ে একটি মেইল পাঠিয়েছিলাম কিন্তু উনি আমাকে হ্যাঁ কিংবা না কোন উত্তর দেননি। আমার মনেহয় উনি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্লগ থেকে দূরে আছেন বিধায় আমার মেইল পড়তে পারেননি। ভবিষ্যতে উনি আমার পোষ্টটির আর্টিকেলের Fair Usage Policy মানতে না চাইলে আমরা তার কনটেন্ট যে কোন সময় মুছে দেব।
Your Ads Here
Your Ads Here
Your Ads Here
Your Ads Here
নবীনতর পোস্টসমূহ
নবীনতর পোস্টসমূহ
পুরাতন পোস্টসমূহ
পুরাতন পোস্টসমূহ
মন্তব্যসমূহ